অ্যামেচার আর্টিস্ট কী জিনিস!

১.
যিনি আর্টিস্ট না বা হয়ত হইবেন তারে আর্টিস্ট বলতে গিয়া অ্যামেচার বলা হয়। এই স্নেহ সম্প্রদান কথিত ‘অ্যামেচার’-এর প্রতি বিনা বিচার সাজা প্রদানের মতো। যিনি আর্টিস্ট না তারে ‘আর্টিস্ট-না’ বলা যদি অশোভন হয় তাইলে ‘অ্যামেচার’ বলাও অশোভন।

মানে কারু একজনের প্রচেষ্টার প্রতি ক্রিটিকদের বা আর্টপ্রেমিদের এই উল্লাস কেন! এইটা যশঃপ্রার্থী সাব্যস্ত কইরা অন্যের পিঠে হাত বুলানোর মতোই ক্রিটিক সীমার অতিক্রম।

২.
দক্ষতা সমাজের সাধারণ বিবেচ্য না, তারুণ্য যেমন। দক্ষতা পেশার ভিতরকার মূল্যায়নের জিনিস। আবার আর্ট সমাজের আর সব পেশা যথা ধান কাটা, নিড়ি দেওয়া, শিক্ষকতা, মাছ ধরা, ট্রাক চালানো, বিজ্ঞাপন এজেন্সি চালানো, সাহিত্য পাতা ভরানো ইত্যাদির চাইতে ভিন্ন জিনিস। ফলে আর্টিস্টের দক্ষতার বা আরো নির্দিষ্ট কইরা বললে আর্টের আর্ট হওনের বা আর্টিস্টের আর্টিস্ট হওনের বিচার অন্য পেশায় যেমনে দক্ষতার বিচার চলে সেইভাবে করা যায় না।

আর্টের বিচার উপর থিকা আসে। তাই সেই উপরের বিচারে (খোদা বা সাম্যবাদের নয়! আর্টিস্ট, ক্রিটিক, কিউরেটর বা ছবিসংগ্রহকারীর বিচার) কেউ আর্টিস্ট কেউ না।

যিনি আর্টিস্ট না তিনি অ্যামেচার আর্টিস্ট হন কীভাবে!

অর্থাৎ এইটা না-আর্টিস্টের একটা নাম। তিনি আর্টিস্টই তাইলে তো আর্টিস্টই, অ্যামেচার হইতে পারেন না।

কারণ এই বিচার সমাজের সকলে মিলা ঠিক করে না। যেহেতু যিনি আর্টিস্ট না তারে আর্টিস্ট বইলা গাইল দেওয়া যায় না, তাই প্রথমে ক্রিটিকরা বা আর্ট লভররা তারে আর্টিস্ট সাব্যস্ত করে পরে অবনমন ঘটায় অ্যামেচার বইলা।

এইটা আর্টিস্ট, ক্রিটিক, বা ছবিপ্রেমীদের নিজ সমাজ তৈরির অশৈল্পিক রাজনীতি। তাই বর্জ্য।

১২/১১/২০১১

 

Leave a Reply