আমি পলিটিক্স বুঝি না। আন্তর্জাতিক পলিটিক্স তো বুঝিই না। আসলেই বুঝি না। পড়াশোনাও করি নাই এইসব বিষয়ে।
তাই আমার কথায় ভুলভ্রান্তি থাকবে। তারপরেও নিজের ধারণা প্রকাশ করি।
অনেকের মধ্যেই একটা ধাঁধা দেখতেছি: “আফগানিস্তান ছাইড়া আমেরিকা যে গেল গিয়া, কেন গেল?”
বা “কেন তালেবানদেরকে ক্ষমতায় প্রতিষ্ঠিত হইতে সাহায্য করতেছে তারা।”
কয়েকজনের পোস্ট দেইখা মনে হইছে, এই রকম একটা খটকা বাজারে ঘুরতেছে।
এই ব্যাপারে আমার একটা আন্দাজের কথা বলি।
ইরানের লগে আফগানিস্তানের বর্ডারের দৈর্ঘ্য ৯০০ কিলোমিটারের। ইরানের মিলিটারিরা এই বর্ডার নিরাপদ করতেছে এখন। তার মানে সব সময় তা মিলিটারির নিয়ন্ত্রণে থাকে না।
এখন হউক বা পরে হউক, তালেবান বিরোধী আমেরিকাপন্থী আফগান নারী-পুরুষরা যে ঝাকে ঝাকে ইরানে শরণার্থী হিসাবে আশ্রয় নিবে না তা আমরা বলতে পারি না।
এবং তার ফল কি আমেরিকার পক্ষে যাবে না? ইরানে যে কোনো অন্তর্ঘাত চালাইতে এই আফগান শক্তির পূর্ণ সদ্ব্যবহার করতে পারবে আমেরিকা।
বা আরো সম্ভাবনাময় দৃশ্য কল্পনা করেন।
ধরেন, ইরানের সঙ্গে তালেবান সমৃদ্ধ আফগানিস্তানের একটা চিরস্থায়ী যুদ্ধ লাগাইয়া দেওয়া গেছে। এবং আপনারা জানেন এই ব্যাপারে আমেরিকা কত পটিয়সী! তো আমেরিকান সৈন্যরা যদি তালেবানদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলাইয়া ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে তার ফল কি আমেরিকার পক্ষে আসবে না?
আমেরিকার জন্যে কোনটা বেশি আকাঙ্ক্ষিত, আফগানিস্তান না ইরান?
আমার মনে হয় ইরান বেশি সুস্বাদু। ইরান কব্জা হইলে আফগানিস্তান বাই ডিফল্ট কব্জা।
অবশ্য এগুলি আমার বিশ্ব পলিটিক্স নিয়া বোঝা না বোঝার জায়গা।
কিন্তু আমেরিকা এইটা বুঝতে এত দেরি করলো কেন?
মনে হয়, আমেরিকা নিজেও আমার মতই পলিটিক্স না বোঝা মানুষ। বা দেরিতে বোঝে সে। আন্তর্জাতিক পলিটিক্স বুঝতে হয়তো বিশ বছর লাইগা যায় তার।