অনেকে খ্যাতিমানদের মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে পত্রিকায় লেখা শুরু কইরা দেয়। তার সঙ্গে কেমন সম্পর্ক ছিল, কী স্মৃতি ছিল তা বলতে শুরু করে। কোনো অপেক্ষা করে না কবি চঞ্চল আশরাফের মতো! হি হি।
আমি মনে করি এই আড়ম্বরটা খুব ভালো। সোসাইটির জন্যে অতীব প্রয়োজনীয় জিনিস। কেন?
কারণ, শোক মূলত উৎসব। অর্থাৎ একা করার না। আকুলতায় বা আতিশয্যেই শোক ভালো। তাতে শোক লাঘব হয়।
এমনিতেও দুঃখ কোনো জিয়াইয়া রাখার সম্পদ না। সবাইরে সঙ্গে লইয়া বা জানান দিয়া শোক না করলে দুঃখ ব্যক্তিগত ও দীর্ঘস্থায়ী হয়। তাতে জাতক-জাতিকার আয়ু কমে।
মৃত ব্যক্তি যাদের আপন ছিল তারা যদি তা না বলে তবে মৃতের প্রস্থানটা নেহায়েত চোরের মত হয়। তাই অনুষ্ঠানের দরকার আছে। জানান দেওয়ার দরকার আছে। তা জীবিতদের জন্যেই।
১৩/৩/২০১৬