লেখক জাহিদ সোহাগ লেখক মঈনুল আহসান সাবেরকে ব্ল্যাকমেইল করছেন ফেসবুকে মেসেজ বক্সে। সাবের তা রাষ্ট্র কইরা দিছেন। সাবের স্ট্যাটাস দিছেন:
“রাজনৈতিক কারণে গালি বা হুমকি নতুন কিছু নয়। এর চল আছে। আমাকেও প্রায় তা হজম করতে হয়। তবে এখানকার ব্যাপারটা অন্যরকম। এপ্রিলের ১০ তারিখে একটা পোস্ট দেই। আমার অধিকাংশ পোস্টের মতো এটিরও ফান পোস্টের ধরন। পোস্টটি জেমকন সাহিত্য পুরস্কার নিয়ে। তারপর দিন গেছে। ওটার কথা ভুলে গেছি। গতকাল মনে করিয়ে দিলেন Zahid Sohag নামের এক ব্যক্তি। তাকে আমি চিনি না, কোনোদিন দেখা বা কথাও হয়নি। তিনি পোস্টে মন্তব্য করার পাশাপাশি ইনবক্স করলেন।”
এরপরে সাবের আলাপের স্ক্রিনশট দিছেন। তা এই রকম:
ব্ল্যাকমেইলারকে পুলিশে সোপর্দ না কইরা তার বিষয়ে দেখলাম লেখকদের তরফে ‘ফেসবুকের কমেন্ট সালিশ’ বসছে।
ব্ল্যাকমেইল বা হুমকি বা এই ধরনের ফৌজদারি অপরাধরে লেখকেরা দেখি নৈতিক ভাবে বিচার করতেছে! হোয়াই?
অপরাধ এমন জিনিস যা করা যায়, যা সমাজগ্রাহ্য—তবে শাস্তিযোগ্য।
অপর পক্ষে, অন দ্য আদার হ্যান্ড, অপরাধ বিষয়ে নৈতিক আপত্তির ধরন এমন যে বিশেষ একটি অপরাধ—এখানে ব্ল্যাকমেইল বা হুমকি—অপরাধটি করা যায় না। সমাজ এই অপরাধ করলে অপরাধীরে বয়কট করবে, একঘরে করবে। অনেক সময় হয় না কোনো মেয়ে পরপুরুষের লগে শুইছে। তো গ্রামবাসী শালিস বসায়।
আমি আপাতত অপরাধের বিপক্ষে। এবং শালিসেরও।
আইন আছে এই জন্যেই যে অপরাধরে আপনি নৈতিক ভাবে বিচার করতে যাইবেন না।
‘অপরাধকে ঘৃণা করো, অপরাধীকে নয়’-এর নিহিত অর্থও এই: “অপরাধের নৈতিক বিচার তুমি করতে বইসো না।”
কিন্তু আমরা অপরাধীদের নৈতিক বিচার করতে বসি, ফেসবুকে শালিস বসাই। অপরাধের বিচার করি না।
২.
অনেকে দেখলাম জাহিদ সোহাগরে ‘সরি’ বলতে বলছে। শালিসের রায়!
৩০/৪/২০১৫