আমাদের দেশে ভালো ঔপন্যাসিকের দৃষ্টান্ত দিতে গেলে অনেকেই আহমদ ছফা বা আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের দৃষ্টান্ত দেন।
ছফারে তো সলিমুল্লাহ খান পাবলিক দিয়া মুখস্থই করাইয়া ফেলছেন—তার উপন্যাস যেহেতু আছে, সুতরাং তা ভালো বটেই!
তবে আমার বিনীত অনুরোধ, ছফা বা ইলিয়াস ভালো ঔপন্যাসিকের দৃষ্টান্ত হইতে পারেন না। তাদের চেয়ে ভালো ঔপন্যাসিক যেহেতু ছিলেন।
তারা দুইজনই ধরেন ঔপন্যাসিক হিসাবে রশীদ করীম বা সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর চাইতেও কম ভাল। ভালো হিন্দু ঔপন্যাসিকদের নাম না নিয়াই বললাম।
বলা যায় এই দুই মুসলমান ঔপন্যাসিক ছিলেন সম্ভাবনাময় ঔপন্যাসিক। ভালো ঔপন্যাসিক তারা হইতে পারতেন। বয়স পান নাই বইলা তারা এখন ছাড়যুক্ত ভাল ঔপন্যাসিক হিসাবে বিরাজিত আছেন। মৃত্যুর কারণে কঠিন সমালোচনাও হয় না আর তাদের।
আখতারুজ্জামান ইলিয়াস তো—তার উপন্যাসের কথা ভাবলে—নিরীক্ষাধর্মী লেখক হিসাবেই গত হইছেন বলতে হয়।
আর আহমদ ছফার ভাল উপন্যাস যেইটা—বাকি উপন্যাসগুলার অবস্থা আরো কম ভালো—পুষ্পবৃক্ষ ও বিহঙ্গপুরাণ (১৯৯৬)—তা পরিবেশবাদ বা অন্য কিছু গৌণ কারণে ভাল বইলা প্রতিভাত হইতে পারে। এমনিতে উপন্যাস হিসাবে গৌণ।
কেন গৌণ? তা আর বলতেও ইচ্ছা করতেছে না। আপনারা ওনাদের মুখ্য ঔপন্যাসিক কইরা তোলেন—এই কামনা করি।
৬/১২/২০১৩