১.
টীকাকার বা হদিসবিদ কইলে বুদ্ধিজীবী সলিমুল্লাহ খানের মর্যাদা হানি হবে তেমন চিন্তা যারা করেন তারাই ওনার মর্যাদা খর্ব করেন।
সলিম ভাইয়ের বুদ্ধিজীবীত্বের পরিচয় প্রধানত টীকা, রেফারেন্স ও অন্য লেখকদের আলোকে করা মন্তব্য ইত্যাদির উপর প্রতিষ্ঠিত ও প্রচারিত। অনেকে মৌলিক বুদ্ধিবৃত্তিক অবদান রাখতে পছন্দ করেন না—সে রকম অবদান না থাকাটা তাদের বুদ্ধিজীবীত্বের হানি নয়।
সলিমুল্লাহ খান যখন লাঁকা, ফানো ও ছফাকে প্রধান কইরা তোলার বুদ্ধিবৃত্তিক টীকাজনিত লড়াইয়ে শামিল তখন তার মৌলিক বুদ্ধিবৃত্তিক বাণীসমূহ কী কী এই প্রশ্ন অবান্তর।
লাঁকা, ফানো, ছফা প্রমুখ চিন্তাবিদদের মৌলিক বাণীকে যদি সলিমুল্লাহর টীকা নতুন মাত্রা বা অর্থ (বা ভুল অর্থ) দিতে পারে তবে সেটাই তার বুদ্ধিবৃত্তিক মর্যাদার অবস্থান বা হাইয়েস্ট পয়েন্ট অব ইন্টেলেকচুয়ালিটি হবে।
জগতে বহু টীকা-বুদ্ধিজীবী আছেন, মৌলিক বুদ্ধিজীবীদের চাইতে তাদের গুরুত্ব কম নয়। বহু ক্ষেত্রে অধিক। সলিমুল্লাহ খানের ক্ষেত্রে কী রকম সেটি গবেষণার বিষয়।
স্যাটায়ার অর্থে বলতেছি না। সদর্থেই আমার এই বক্তব্য।
ভক্তের হয়তো মৌলিকের দাবি—সলিম খান টীকা দিচ্ছেন। টীকাতেই যদি বসন্তবিলোপ হয়—মৌলিক পারমাণবিক থেরাপির প্রয়োজন কী?
২.
এই যে আমি টীকা দিলাম সলিমুল্লাহ খানের—টীকাকার হইলাম, তাতে কি আমার বুদ্ধিজীবীত্বের হানি (মধু অর্থে নয়) হইয়া গেল?
সে নহে, সে নহে!
২৭/৭/২০১৩