১.
ঘাস নিয়া কথা বলতে গেলেও রবীন্দ্রনাথরে ট্যাক্স দিয়া যাইতে হবে! রবীন্দ্র রক্ষা কমিটির আবদার। তাও যদি আমি ঘাসের উপরে শিশির বিন্দু বসাইতে চেষ্টা করতাম।
আমি এফবিতে লিখছিলাম: “ঘাসের ডগার মুখেও আপনি নতুন দুনিয়ার দেখা পাইতে পারেন।”
এইটা নাকি রবীন্দ্রনাথ থিকা আমি চুরি করছি! এই বইলা ওনারা রবীন্দ্রনাথরেই যে লজ্জা দিতেছেন তা ওনাদের কে বোঝাবে?
আমিই বোঝাই।
২.
রবীন্দ্রনাথের হাবড়া হইয়া যাওয়া এই লাইন “একটি ঘাসের শিষের উপর একটি শিশির বিন্দু” এখন আমাদের সাহিত্য, কৃষ্টি মায় পর্যটন বিভাগেরও হদ্দ ক্লিশে।
এইটারে যে কেউ ব্যবহার কইরা অন্য মাত্রা দিলে এইটা বরং জাত পাইতে পারে আবার। আর এই লাইন অন্যে লিখলে আর চুরিও হবে না সেইটা। হবে রবির ব্যবহার।
এমনকি যদি কেউ লেখে “একটি ঘাসের শিষের উপর একটি শিশির বিন্দু” আর বলে এইটা সে নিজেই লিখছে তবুও সেইটা চুরি হবে না আর। বড়জোর রস রচনা হইতে পারে।
৩.
এখন বলেন দেখি এইটা কার কথা:
“Just as a dewdrop on the tip of a blade of grass quickly vanishes with the rising of the sun and does not stay long, in the same way, brahmans, the life of human beings is like a dewdrop.”
গৌতম বুদ্ধ থিকা কে নিছে? আমি না ঠাকরে?
আমার ঘাস ধরেন আমি জীবনানন্দের আস্তাবল থিকা ধার লইয়া আসছিলাম। শিশির ছিল না কেবলই হুকনা। এখন ঠাকুরের ও শিশিরের ও গৌতমের অটোগ্রাফ লইয়া তা সমেত ফেরত দিয়া আসব নে বালের ঘাস। কে কে যাইবেন আমার লগে?