আপনি গবেট নারীবাদী তাই বলতে পারেন দৈহিক সৌন্দর্য বইলা কিছু হয় না।
তা বলেন। যেই লোক সৌন্দর্যে বিশ্বাস করে না তারে কেউ জোর করতে যাবে না নিশ্চয়ই।
কিন্তু সৌন্দর্যে আপনার অবিশ্বাসের কারণে যিনি সুন্দরে বিশ্বাস করেন তিনি এর দ্বারা কোনো রেসিজম করেন না।
দৈহিক সৌন্দর্য্য আছে, সোসাইটি এই জিনিস তৈরি করে, সমষ্টিগত চেতনা তা মাইনা নেওয়ার মাধ্যমে জনমানসে সৌন্দর্যের বা রূপের ধারণাগত অবস্থা তৈরি হয়।
ফলে বেটে মেয়েদের চাইতে লম্বা মেয়েরা অধিক সুন্দর, এই দেশে। বেশি লম্বা হইলে আবার সুন্দর না।
আপনার সোসাইটি এই রকমই মনে করে।
এখন আপনি যেই একটিভিজম করেন ওইখানে হয়তো রূপের জায়গা নাই। সুন্দর আপনার বিষয় না, বরং যারা নারীবাদ করে না, একটিভিজম করে না তারাই সুন্দরের দেখভালকারী। কাজেই আপনার ডিকটেশন দিয়া সৌন্দর্য চলবে না।
সৌন্দর্য নারীবাদ ও একটিভিজম-নিরপেক্ষ বিষয়।
এবং সৌন্দর্য আসমান থিকা আসে না যদিও আকাশ সুন্দর। বরং দৈহিক মাপ সমূহই দৈহিক সৌন্দর্যের নির্ধারক, সমাজে। লম্বা না খাটো, মোটা না শুকনা এগুলা বিচার করা হয় সুন্দর বুঝতে। এই বিচার কী কারণে রেসিজম হইতে যাবে!
প্রতি জাতির সুন্দরের জাতিগত ধারণা থাকে, এই থাকাটা রেসিজম নয়।
কোনো জনসমষ্টির মধ্যে রূপের ধারণা তৈরি করতে না দেওয়া বা কী সুন্দর কী অসুন্দর তার বাছাইয়ে আপত্তি তোলাটা ফ্যাসিবাদ।
আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের বক্তব্যে যারা আপত্তি করতেছেন তারা মূলত ফ্যাসিজম করতেছেন।
২/৯/২০১৯