নতুন বাংলা কান্না গানের প্রাদুর্ভাব প্রতুল মুখোপাধ্যায়রে দিয়া। পরাধীন দেশে গায়কের যেমন ব্যথা তেমন ব্যথায় বাংলায় দেশাত্ববোধক বা ভাষাত্ববোধক গান গাইছেন উনি।
তাঁর গায়কী দিয়া প্রভাবিত মৌসুমী ভৌমিক কান্না গানরে প্রায় বুদ্ধিজীবী ভাষ্যে নিয়া যান। অহেতুক গাম্ভীর্য আনতে কাঁদো কাঁদো কণ্ঠে এইসব গান গীত হইয়া থাকে। অস্থানে দুঃখ ভাবের প্রয়োগে সম্বৃদ্ধ এইসব ভুয়া গান, ভুল সংবেদনার গান বা কানদা সঙ্গীত এই দেশে মার্কেট পাইছে ভালো। এখন বিলাতেও গাইছে। যথা সোহিনী আলম।
২.
শোকসঙ্গীত আছে, মর্সিয়া আছে। কান্দনের গানে কানবে। তাতে তো ভুয়া হয় না। গানে পৌরুষের কী দায়িত্ব জানি না। আব্বাসউদ্দিন, শচীন ওনাদের গানে দেখেন পৌরুষ লাগে না। কারণ তারা গান দিয়া পাবলিকরে ডিকটেট করেন না। নেতাভাবমূলক গান লাগে পিপলরে পথ দেখাইতে। যখন পিপলের যে পথের প্রয়োজন নাই তার নির্দেশনায় যে ক্রন্দন তা ভুয়া।
পরাধীন ভারতবর্ষে লোকে কান্দাকাটি মূলক গান গাইত দেশমাতারে নিয়া, তার কারণ বুঝি। যে, যুদ্ধে অক্ষম–তাই কান্দে। নবীন বাংলা বা অন্তত পশ্চিমবাংলায় এমন দুঃখের কারণ কী? কীসের দুঃখ? কীসের পৌরুষ? কীসের কী!
প্রতিভা নাই ওনাদের। পুরাতন গানের একটা সুর ভাইঙ্গাই হয়তো খাইতেছেন।
ঢাকা, ১৯/১২/২০১২
2 Comments
Add Yours →