কামুর লোক পুরস্কার প্রত্যাখ্যান ও এক্ষণে প্রত্যাখানের প্রত্যাখান—বড়ই সমস্যার সমস্যা!

কবি কামরুজ্জামান কামু কর্তৃক শামীমুল হক শামীমের লোক সাহিত্য পুরস্কার ‘প্রত্যাহার’ এবং ‘প্রত্যাহারের প্রত্যাহার’ নাটিকা বড় চমৎকার।

এটি গত ডিসেম্বরে লেখক চঞ্চল আশরাফ যে গল্পকার পারভেজ হোসেন কর্তৃক লাঞ্ছিত হইছিলেন, তখন যে আমরা কিছু লেখক, কামুসহ, একত্রিত হইছিলাম সেই সমবায়রে প্রবলেমে ফেলে দেয়। লঘুস্য লঘু করে। তার দায় কামু নিশ্চয়ই নিবেন না! কিন্তু নেওয়া তো দরকার।
আফটার অল পারভেজের, অর্থাৎ আক্রমণকারীর, সঙ্গে একই টেবিলে বসলে পড়ে শামীমুল হকের লোক সাহিত্য পুরস্কার প্রত্যাহারের প্রত্যাহার অন্য অর্থ নিয়া আসে। তা কি আরেকবার ভাইবা দেখবেন কামু?

আপনি তো এই প্রত্যাহার ওঠাইয়া নেওয়ার আগেই খোদ আক্রমণকারীর সঙ্গেই সদ্ভাব তৈরি কইরা নিছেন। নতুন কইরা লোক সাহিত্য প্রত্যাহার ওঠাইয়া নেওয়ার ঘোষণা বরং এই সদ্ভাবরে জাস্টিফাই করার বাইরে আর কিছু করে না।

বরং লাঞ্ছনার কোনো গতি হওয়ার আগেই আপনি চঞ্চলরে বাদ দিয়া কেন আক্রমণকারীর সঙ্গে আলাদা ভাবে আপোষে গেলেন তা বইলা নিলে মনে হয় ভাল হইত। তদুপরি আপনার যা খুশি আপনি তা করতে পারেন। বা মনে হয়, তা আপনি আসলে পারেন না।
পারলে তা চঞ্চলের বিরুদ্ধে আপনার কৃত নতুন এক লাঞ্ছনা হইয়া যায় না? পুরানা লাঞ্ছনাকারীদের স্বার্থ সংঘটনের মধ্য দিয়া তো আপনি চঞ্চলরে নতুন কইরা লাঞ্ছনাই কইরা বসলেন মনে হচ্ছে!

আমি শোয়েইব সর্বনাম সহযোগে কামুকে আমাদের প্রিয় আক্রমণকারী স্টোরিটেলার পারভেজ হোসেন ভাইয়ের টেবিলে ভূত হিসাবে দেখি নাই তো তার এই ‘প্রত্যাহারের প্রত্যাহার’ নামক ভুল বুঝতে পারা মূলক মানবিক ঘোষণাটির কয় দিন আগে, সাকুরায়, রাতে!

Leave a Reply