পাঠ: পাওলো কোয়েলহোর ‘ভেরোনিকা ডিসাইডস টু ডাই’

 

পাওলো কোয়েলহোর ভেরোনিকা ডিসাইডস টু ডাই পড়লাম। বাংলায়।

চরিত্র তৈরিতে খুব সুবিধার লাগলো না। জাতীয় চরিত্র তৈরি করেন। মানে যেন যে কোনো ব্যক্তি। সমাজরে বর্ণনা করেন কলামিস্টের দক্ষতায় ও সংক্ষিপ্ততায়। নিশ্চয়ই ব্যক্তিরেও। পরিবার নিয়া হ্যান্ডেল করতে পারেন মনে হইল না। বেশিক্ষণ বর্ণনা টানতে পারেন না। ছাড়া ছাড়া। দক্ষতার সমস্যা মনে হইল, অনিচ্ছার না।

paolo-k
পাওলো কোয়েলহো

তাইলে এত লোক পড়ে কেন ওনার বই?

চাপা পড়া ব্যক্তিসত্তারে জাগনের ডাক দেন তিনি—অন্তত এই বইয়ে। যেহেতু ব্যক্তিত্বগুলা চাপা পড়া, দৈনন্দিন রুটিনের একঘেয়েমিতে ফতুর হইয়া গেছে, তাই যেন এক চরিত্রের শেষ করা দুভোর্গের আর রুটিনের চাপ আরেক চরিত্রের মধ্য দিয়া শুরু হয়।

তা বিরাট ব্যাপার!

দুনিয়া সুদ্ধা লোকে উপন্যাসরে আপন জীবন তৈরির গাইড বুক হিসাবে নেয় নিশ্চয়ই। তা হিসাবে কোয়েলহো প্রায় ধর্মের মত পথপ্রদর্শক। মানে অফিস করা লোকজন (পৃথিবীতে এমন লোক কম না কিন্তু!) তাদের মুক্তি পাবে কোন পথে কোয়েলহো তা কিছুটা দেখান—অন্তত দেখাইছেন এই বইয়ে।

অন্য বই পড়া হয় নাই।

১৮/৯/২০১০

 

2 Comments

Add Yours →

Leave a Reply