বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের কাজ সাহিত্য নয় শিক্ষাবিস্তার, সুতরাং…

আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ ও তাঁর সুন্দর প্রতিষ্ঠান বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র শিক্ষাদানের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের পাঠ্যপুস্তক কার্যক্রমরে আরো পরিব্যাপ্ত করতেছে কিনা তা দেখার সময় আসছে সরকারের। তেমন শিক্ষার মহামারী যদি ঘটাইয়াও থাকে এই প্রতিষ্ঠান তবু সেইটা সাহিত্যের কাজ না।

বরং তা শিক্ষা বা সরকারের কাজ।

আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ: সাহিত্যের চাইতে শিক্ষাবিস্তারে অধিক আগ্রহী
আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ: সাহিত্যের চাইতে শিক্ষাবিস্তারে অধিক আগ্রহী

কাজেই বাংলাদেশ সরকারের দেখা দরকার এই প্রতিষ্ঠান পাঠ্যপুস্তক কার্যক্রমে কোনো নেগেটিভ ভূমিকা রাখতেছে কিনা। যারা এক দেশে এক শিক্ষা চাইতেছেন তাদের এই বিষয়ে আরো মনোযোগী হওয়া দরকার। বিশ্বসাহিত্যকেন্দ্র সরকারের শিক্ষাদান ব্যাপারে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসাবে কাজ করতে পারে। আমি আশ্চর্য হই বাংলাদেশের মত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে কেউ এতদিন এই প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা নিয়া কথা বলে নাই কেন? শিক্ষা মানেই স্পর্শকাতর ব্যাপার।

যেহেতু শিক্ষা জনসাধারণরে কব্জা করার জন্য চালু রাখে রাষ্ট্র, পাবলিকরে সাইজ করবে বইলা, সুতরাং দেখা দরকার কোন শিক্ষা রাষ্ট্রের বা সরকারের পক্ষে যায় বা যায় না। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের মত জনশিক্ষার একটা প্রতিষ্ঠানকে অবশ্যই সরকারের পাঠ্যক্রম ব্যবস্থার মধ্য দিয়া চোলাই হইয়া আসা দরকার। যেহেতু এইটা শিক্ষা নিয়া কাজ করতেছে। যেমন একই ধরনের আরেক প্রতিষ্ঠান ব্র্যাক কী পড়ায় তাও সরকারের বিবেচনায় নিশ্চয়ই আছে।

২.
সাহিত্যের জন্য শিক্ষার তেমন দরকার পড়ে না। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র সাহিত্যের নামে শিক্ষাবিস্তারে ব্রতী। শিক্ষা মাত্রই সন্দেহের ব্যাপার। তেমন তেমন শিক্ষার বিস্তারে হিটলারেরও নিশ্চয়ই আপত্তি থাকে না।

শিক্ষা শুনলেই আনন্দে হুইয়া পড়বেন না যেন। বই কে কোনটা পড়বে না পড়বে তা ঠিক কইরা দেওয়াটা ম্যানিপুলেশন। নিন্দার যোগ্য। পাঠ্যপুস্তক বোর্ড যে কারণে নিন্দনীয় সে কারণে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র বা ব্র্যাকও।

তো এইবার বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র শিক্ষাদান বাদ দিয়া সাহিত্যের কাজ কিছু করলেও পারে।

৫/৪/২০১৪

Leave a Reply