এনজিও ধারার পরমাণু অস্ত্র বিরোধিতার অর্থ হচ্ছে নতুন কইরা কারো কাছে যাতে পরমাণু অস্ত্র না যায় তার নিশ্চয়তা তৈরি করা।
নিশ্চয়তারে আরো নিশ্চিত করতে এদেরকে এইবার (২০১৭) শান্তিতে নোবেল পুরস্কার তুইলা দেওয়া হইল।
কার দরকার এই নিশ্চয়তার?
যার ইতিমধ্যে পরমাণু অস্ত্রের মজুদ আছে তারই যে বেশি প্রয়োজন তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
আপনি-আমি কার অস্ত্রে মারা যাবো তার সিদ্ধান্ত আমাদের হাতে নাই।
ফলে আমরা পরমাণু অস্ত্রের নতুন নাকি পুরাতন মালিকদের বিরোধিতা করবো সে বাছাই আমাদেরকে যথার্থ শান্তি অর্থাৎ নোবেল দিতে পারবে না।
বরং সাম্রাজ্যবাদীদের অর্থে পুষ্ট এনজিওগুলির পরমাণু অস্ত্র বিরোধিতা পরমাণু শক্তি হইতে যাওয়া দেশগুলির বিরুদ্ধে পুরাতন পরমাণু শক্তির দেশগুলিরে আন্তর্জাতিক বৈধতা প্রদান করবে।
যাতে কিনা গুণ্ডা রাষ্ট্রগুলির ভদ্র প্রতিষ্ঠান জাতিসংঘ যে কোনো সময় সম্ভাব্য পরমাণু শক্তি হইতে যাওয়া দেশগুলির বিরুদ্ধে দ্রুত অ্যাকশন নিতে পারে।
অর্থাৎ এই বিরোধিতা ১৫০০০ পরমাণু অস্ত্রের মালিক সাম্রাজ্যবাদেরই বিরোধিতার নাটক। ICAN তাদের নির্দেশকের ভূমিকায় অভিনয়রত।
তাই সাম্রাজ্যবাদ ICAN রে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দিছে। যাতে তারা শান্তিতে পরমাণু অস্ত্রের মজুদ ঠিক রাখতে পারে। যাতে উত্তর কোরিয়া মার্কা নতুন শক্তির আর উত্থান না ঘটে।
তাই মাঝে মাঝে মজুদ পরমাণুগুলির বিরুদ্ধেও নাকি সুরে গাওয়া হবে গান—আইক্যান! আইক্যান!!
৮/১০/২০১৭