ইহুদিরা মুসলমান মারে এই ঘটনার তাৎপর্য হিন্দুর চাইতে মুসলমানের কাছে বেশি হওয়ার কথা

gaza-dead-child
আপনি কোন হত্যায় পীড়িত হইবেন এইটা আপনার ব্যাপার। কত হত্যায়ই তো আমার কিছুই লাগে না, তাই বইলা আমি মানুষ না নাকি?

কারো মৃত্যুতে, অপমানে আপনি যে একই হইয়া ওঠেন ওইটা মানবিকতা না, রাজনৈতিকতা। মানবিকতা কোনো প্রতিজ্ঞা তৈরি করতে পারে না, আহা উহু প্রডিউস করে, উহা হাওয়াই মিঠাই। যে কারণে মানবিকতা শত্রুর সহোদর। তা আপনারে যথেষ্টই নির্বাপিত করে।

দুনিয়ার সকল লোকের মৃত্যুর জন্য আপনার সহানুভূতি কেন জাগে না তা আপত্তির বিষয় আদৌ নয়। মুসলমান মুসলমানরে মারে তার চাইতে অন্য ধর্মের লোক মুসলমান মারে তা বেশি সংকটজনক মুসলমানদের জন্যে। মানবিকতা থিকা উদ্ভূত শিক্ষিত সমবেদনা বা গ্লোবাল সহানুভূতি না থাকা দোষের কিছু না।

মুসলমানের বিরুদ্ধে যদি অবিচার হইয়া থাকে আপনি তা নিয়া কথা বলতে পারেন। আগে পাহাড়িদের প্রতি অবিচারে চুপ ছিলেন, হিন্দুর প্রতি অবিচারে চুপ ছিলেন, তাই আপনার উচিত না মুসলমানের অবিচারে কথা বলা—এই রকম যারা বলে তারা ফ্যাসিবাদী। তারা আপনারে রাজনৈতিক হওয়ার সুযোগ দিতে নারাজ। তারা আপনারে বাধ্য করতে চায়। আপনি যদি তাদের ভালোতে নিবেদিত না থাকেন তবে কোনো খারাপের বিরুদ্ধেই কিছু বলতে পারবেন না। কী আবদার!

কিন্তু যিনি রাজনৈতিক হইবেন তিনি তার অবস্থা বুইঝাই তা হবেন। যত বড় বড় কথা বলেন, দুনিয়া রাজনৈতিক নিয়মেই চলে। এর মধ্যে মানবিকতা নামক ফোপড় দালালদের ধর্ম অন্যের রাজনৈতিকতারে স্থগিত করার চেষ্টা করে মাত্র। হাঃ হাঃ, অগো কথা শুনবেন না। অরা অল্পবিদ্যা।

১২/৭/২০১৪

 

Leave a Reply