ড. আনিসুজ্জামানকে আপনি বুদ্ধিজীবী বলবেন না?
কী কারণে বলবেন না?
তিনি বিএনপির বিরুদ্ধে ছিলেন আর আওয়ামী লীগের পক্ষে ছিলেন তাই?
বুদ্ধিজীবীদের ফেরেশতা না বানাইয়া ভালো-মন্দে মিলাইয়া দেখতে পারাটা সাবালকত্বের লক্ষণ।
দেশে বিএনপি বুদ্ধিজীবী যেমন আছে, তেমনি আওয়ামী বুদ্ধিজীবীও আছে।
দল করে না এই রকমও আছে। আবার ভারতপন্থী, পাকিস্তানপন্থী আছে।
বুদ্ধিজীবীরা যেহেতু চিন্তা করতে পারে তাই নিজের ইচ্ছায় নিজের পথ বাইছা নিতে পারে তারা।
আপনি যদি নিজের দলের বাইরে বুদ্ধিজীবী দেখতে না পান, এইটা আপনার পলিটিক্স।
সুন্দর পলিটিক্স। তবে পাবলিকরে খাওয়াইতে পারতে হবে!
আমি সচেতন পাবলিকদের বলবো, বুদ্ধিজীবী বলতেই পাবলিকের বেদনায় কাইন্দা একশেষ, এমন ভাবনার হেতু নাই।
চতুর বুদ্ধিজীবীরা পাবলিকের নাম কইরাই দলের স্বার্থ উদ্ধারে সমর্থ হন।
আমার কথা হইল, বুদ্ধিজীবী হইতে গেলে আপনি কোন পজিশনে বা কোন বাক্সে আছেন তাতে কিছু যায় আসে না। আপনি বুদ্ধিজীবীই।
হয়তো খারাপ, নয়তো দুর্বল, নয়তো শক্তিমান। কিন্তু বুদ্ধিজীবী। বুদ্ধিজীবী মাত্রই ধোয়া তুলসীপাতা ভাবার কারণ নাই। বুদ্ধিজীবীরা সবাই ভালো হবেন না, কেউ কেউ ইতর হবেন।
বুদ্ধিজীবীদের যার যার বিবেক তার তার পলিটিক্যাল বাস্তবতা।
একজন বিএনপি বুদ্ধিজীবী হিসাবে আসিফ নজরুল সাহেবের মূল ফাইট আওয়ামী বুদ্ধিজীবীদের লগে। কিন্তু আওয়ামী বুদ্ধিজীবীরা যেহেতু সরকার বিরোধীতা করেন না, তাই তারা বুদ্ধিজীবী না!
আবদার আর কি!
জনাব নজরুল যখন আওয়ামী লীগে কোনো বুদ্ধিজীবী দেখতেই পাইবেন না তখন ওনার কোনো বুদ্ধিজীবিতার ফাইটও নাই। থাকার কথা না।
কেবল প্রতিবাদ আছে। মানববন্ধন আছে। বিবেক হিসাবে দেশের লোকদেরকে নসিহত করাটা আছে।
সৎ নসিহত, বাট নসিহত।
আসিফ নজরুল সাহেবকে বলবো, ইতরামি জিনিসটারে বুদ্ধিজীবী সমাজের বাইরে ভাববেন না। বুদ্ধিজীবী হিসাবে সকলেই ইতরামি করেন। সততারে যখন কার্ড হিসাবে ব্যবহার করেন তারা, সেইটা ইতরামিই। বা ধোঁকা প্রদান।
তার দরকার আছে। বুদ্ধিজীবী যখন হইছেন, ধীরে বুঝতে পারবেন।