যখন আপনি কারো সঙ্গে আলাপে যাইতে রাজি না তারে তো গালি দিতেই পারেন! সে গালির ব্যাপারে আমার নন্দনশাস্ত্রীয় বা রুচিগত কোনো আপত্তি হয় না। আপত্তি তখনই যখন কোনো ফোরামে বা সোশ্যাল মিডিয়ায় আলাপ করতে আইসা গালি দেয় কেউ। তাও ততটা গালির ব্যাপারে আপত্তি হয় না, যতটা আলাপের ব্যাপারে হয়।
আমারে অনেকেই তাদের লেখায় তাদের ওয়ালে বা ব্লগে গালি দিছেন–আমি তাদের সে গালির প্রতি শ্রদ্ধামূলক দূরত্ব রক্ষা কইরা চলি। আমার ব্লগে বা ফেসবুক ওয়ালে আমি গালি বরদাশত করি না–সেইটা আমার রুচিমাফিকতা। কিন্তু আমি আমার রুচি দিয়া গালিবাজদের গালি দেওয়ার আন্দোলনরে রুখতে চাই না! তারা যেন তাদের নিজের চৌহদ্দিতে নিজের রুচি বা ইচ্ছানুযায়ী গালাগালি করতে পারেন সে স্বাধীনতা তাদের হউক–এইটা আমি চাই।
২.
মেয়েদের গালি দিলে সভ্য সমাজ খুব আক্রান্ত বোধ করে। তারা তখন দেখায় যে এতে কইরা নারী-অধিকার লংঘিত হইতেছে। পুরুষদের গালি দিলে তেমন কইরা পুরুষ-অধিকারের লংঘন তারা দেখায় না। সে অর্থে তাদের সে আপত্তি পুরুষতান্ত্রিকই লাগে।
গালি মতামত প্রকাশের জরুরি মাধ্যম। তবে শান্তিপূর্ণ ভদ্রসমাজ গঠনের অন্তরায়।
৩০/৪/১৩
1 Comment
Add Yours →