অফলাইন বন্ধু ও কবি শরৎ চৌধুরী ফেসবুকে আমার একটা নোট প্রসঙ্গে (স্ট্যাটাস) কিছু কথা জিজ্ঞেস করলেন। তার কথা উদ্ধৃত করতেছি:
Bratya Raisu র- কান ধরলেও আর কান ধরা হবে না – প্রসঙ্গে
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যে কোন ইস্যুকে “মিহিকরণ” ও “আস্তস্থকরণের” ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়ে আসছে অনেকদিন ধরেই। পাছার মধ্যে গ্যাস দিয়া শিশু মারা, রক্তাক্ত বিভৎস হত্যা ছবি ও ঘটনা বর্ননা, রেইপের মধ্যে একটা থ্রিলার, টুপি দেখলেই “জঙ্গী” হত্যার উল্লাস, ফাঁসি নিয়া শিৎকার, সংখ্যালঘু হত্যায় করুণা বিনোদন ইত্যাদি। অর্থাৎ সামাজিক উত্তেজনা/উদ্বেগ/উৎকন্ঠা/বিরাগ ডাম্প করার ডাস্টবিন হিসেবে। যখন Bratya Raisu বলেন, “সিরিয়াসনেসরে ভাইঙ্গা দিতেছে এই প্রতিবাদ।” তখন দুটো প্রশ্ন মাথায় আসে,
১. খালি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কোন পরিবর্তন করতে পারে কিনা? কারণ সেতো বিদ্যমান সমাজ ব্যবস্থা ও পরিস্থিতির বাইরে না।
২. আর আদৌ কোন “সিরিয়াসনেস” অবশিষ্ট আছে কিনা?
উনারে ধন্যবাদ।
– শরৎ চৌধুরী
১৮ মে ২০১৬
***
আমি বলছিলাম—
“এই যে অনলাইনে কান ধরাধরি প্রতিবাদ চলতেছে এর ফল সুদূরপ্রসারী। সিরিয়াসনেসরে ভাইঙ্গা দিতেছে এই প্রতিবাদ। এইটার আরো নানান বিধ্বংসী রূপ সামনে দেখা যাবে।”
***
শরৎ, খুন বন্ধ করা সম্ভব না। মানুষ অনাদিকাল থিকাই খুন হইতেছে। তাই ইতিহাসের সকল খুন বিরোধী আন্দোলন বিফল আন্দোলন। খুন কমানো পুলিশের দায়িত্ব।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এই সব নিয়া কথা না বললে তা আত্মস্থকরণ হবে না। নাগরিক দায়িত্বরে সোশ্যাল মিডিয়ার দায়িত্ব হিসাবে চাপাইয়া দেওয়াটাই বরং নাগরিকদের দিক থিকা ‘মিহিকরণ’ ও ‘আস্তস্থকরণ’।
সিরিয়াসনেস বলতে সমাজে আচরণগত যে সিরিয়াসনেস বিদ্যমান তার কথা বলতেছিলাম। এখনও সমাজে নানান বর্ণে সিরিয়াসনেস চালু আছে।
যেমন মধ্যবিত্ত সমাজে সোফার উপরে বা হাতলে চাকর ও চাকরানিদের বসতে না দেওয়া।
আমি সোশ্যাল মিডিয়া জগতের প্রতিবাদ কারী ভাই ও বোনদের বলব আপনারা চাকররে মালিকের জায়গায় ও মালিককে চাকরের জায়গায় বসাইয়া তেমন কিছু ছবি সোশ্যালে পোস্ট করেন, এই সিরিয়াসনেসও ভাঙবে।
সমাজে যে আচরণ নিন্দ্যনীয় তার রগড় তাকে অত সিরিয়াসভাবে নিন্দ্যনীয় আর রাখে না। ধ্বস নামায়। তুচ্ছ এইসব সোশ্যাল মিমিক্রি বা সামাজিক রগড় থিকা বড় বড় পরিবর্তন সাধিত হয়।
বিপরীতে বড় বড় রাজনৈতিক আন্দোলন দল বদলের সারেগামা করতে করতে দেশের ভবিষ্যৎরে গোয়ার মধ্যে হান্দাইয়া দেয়।
১৮/৫/২০১৬