‘রবীন্দ্রনাথরা’ কেন হিরো আলমের গলা টিপ্পা ধরতে চায়

হিরো আলমের মধ্যে মিডল ক্লাস নিজেদের ভূত দেখতে পায়।

মানে রবীন্দ্র শিক্ষিত (কাজেই নজরুল শিক্ষিতও) মিডল ক্লাস যেভাবে নিজেকে আর দেখতে চায় না তা সে দেখতে বাধ্য হয় হিরো আলমের কারণে, তার কালচারাল আহাজারির মধ্যে।

হিরো আলমের গুণ হচ্ছে সে মিডল ক্লাসের ফেলে যাওয়া গেরাইম্মা ভূতরে ধইরা আগায় নিতে আগ্রহী, সে আগ্রহী না রবীন্দ্রনাথের শরণ লইতে।

এইখানে হিরো আলম র‍্যাডিক্যাল। সে পুরাতন বা প্রি মডার্ন কালচারের শরীরে নতুন বা পোস্ট মডার্ন কালচারের মিশ্রণ ঘটাইছে। সবকিছুরে গ্রহণ করে সে। হিরো আলম গ্রহিষ্ণু। আপনাদের মতো লাশের সংস্কৃতি বা মুর্দা সংস্কৃতি বা রবীন্দ্র সংস্কৃতি সে করে না। সে যেই সংস্কৃতি করে তা মান বা রুচিনির্ভর না, বর্জনের সংস্কৃতি না। বরং তার সংস্কৃতি গ্রহণ ও অংশগ্রহণের সংস্কৃতি।

যেই কালচাররে মাঝপথে পরিত্যাগ কইরা মিডল ক্লাস শিক্ষিত হইছে, রবীন্দ্রনাথময় হইছে এখন আবার সে হিরো আলমের মাধ্যমে পরিত্যক্ত কালচারের স্বাভাবিক বিকাশ দেখতে পাইলে তার দশা কী দাঁড়ায় বলেন!

ধরেন গ্রাম থিকা আপনার আত্মীয় আসছে কাঁঠাল নিয়া, ড্রয়িং রুমে ঢুইকা গেছে সে, আর আপনি ড্রয়িং রুমে তখন বন্ধু-বান্ধবী সমভিব্যহারে গাইছেন “শোনাও কানে কানে মঙ্গলও বারতা”, তা কী রকম না?

হিরো আলম আপনাদের সেই আত্মীয়, কিন্তু কাঁঠাল না, সে নিয়া আসছে মাইকেল জ্যাকসনের গান।

আপনাদের সঙ্গে লইয়া সে গান সে গাইতে চায়, নাচতেও চায়… আপনি তা কেন চান না!

হিরো আলম দেখাইয়া দেয়, আপনারা বিড়ালতপস্বীরা আপনাদের গু কোথায় লুকাইতে চান।

২৮/৪/২০২১

Leave a Reply