হুমায়ূন আহমেদ কখনোই সাধারণ মানুষের ভাষায় উপন্যাস লেখেন নাই। বরং মধ্যবিত্তের রাজধানীতে থাকা একটা গর্বিত অংশ অনেক দিন আগেই হুমায়ূনের উপন্যাস ও নাটকের ভাষায় নিজেদের গর্বিত বদল ঘটাইয়া নিছিলেন।
যে কারণে ভুল ভাবে মনে হয় হুমায়ূন সাধারণ মানুষের ভাষায় লেইখা গেছেন। কিছু কিছু সাধারণ মানুষ এখনও হুমায়ূনের ভাষায়ই—তার আধো আধো মজা করা চুটকি মূলক ভাষায়—জীবনধারণ করেন।
এদের বেশির ভাগই যে সব জেলা শহর থিকা আসছিলেন তার ভাষা ও যোগাযোগের ধরন ভুইলা যাইতে তৎপর।
কোনো জনসমাজের জন্যে এইটা অভিশাপের ঘটনা। যেমন রবীন্দ্র অভিশাপে কালিমা লিপ্ত হইয়া আছে পুরা পশ্চিমবঙ্গ। এরা আর রক্ষা পাবে মনে হয় না।
আরো পড়ুন: ভিন্ন ভিন্ন উপন্যাসে একই চরিত্র থাকার হুমায়ূন সমস্যা
এই বঙ্গে অবশ্য হুমায়ূনের সেই সুযোগ নাই।
সমাজে মানুষের ভাষার বৈচিত্র্য অতি প্রয়োজনীয় জিনিস। কোনো একজন প্রতিভার খামখেয়ালির দাস হইয়া থাকা যে কোনো জনসমষ্টির জন্যে অনুচিত বিষয়।
২১/৭/২০১৬