ফেসবুক-এর মেটা হওয়া ও মেটা না-হওয়া

ফেসবুক অ্যাপের যে নাম আদৌ চেঞ্জ হইতেছে না—জাস্ট কোম্পানি নাম বদলাইতেছে, তা কি ফেসবুক প্রচার কর্তৃপক্ষ স্পষ্টভাবে বলতে পারতো না ইউজারদের?

অবশ্যই পারতো। কিন্তু বলে নাই।

কেন বলে নাই?

কারণ না বলার কারণে যা হইছে বললে তা হইত না!

সে কারণেই বিজ্ঞাপনী কৌশল হিসাবে ফেসবুক কোম্পানির যে নতুন নাম হইতে যাইতেছে ‘মেটা’ তা এই রকম অস্পষ্ট ভাবে সবাইরে জানাইতে হইল। ওনারা একটা মুষিকরে পর্বত হিসাবে খাইতে দিল আমাদের!

“ফেসবুক কোম্পানির নাম বদল হইতেছে কিন্তু ফেসবুক ফেসবুকই থাইকা যাইতেছে”—এমন নিউজের গুরুত্ব চাইর আনাও নাই, আপনারা জানেন। জাকারবার্গ সাহেব তা আমাদের চাইতে ভালো জানেন।

দেখেন গুগলের মাদার কোম্পানি যে আলফাবেট তা কয়জনে জানে? খুব অল্প লোকে জানে।

তার বিপরীতে দেখেন, এখন সবাই জানে ‘মেটা’ জিনিসটা কী? কাজেই যখন মেটাভার্স ধরনের অ্যাপ আসবে সামনে দুনিয়া জুইড়া ফেসবুক ইউজারের সব গোষ্ঠী কালবিলম্ব না কইরা গপাগপ নিবন্ধন কইরা নিবে তাতে। কারণ ফেসবুকের এই প্রচারণা এমন ধারণা দিছে যে, ভবিষ্যৎ সেই অ্যাপ ফেসবুকের চাইতে বেটার অ্যাপ হবে।

সাধারণ অবস্থায়, নতুন আসা অ্যাপ হিসাবে, এক বছরে যত লোক জয়েন করতো এখন ফেসবুক/মেটা অস্পষ্ট নিউজ নামক বিজ্ঞাপনের কারণে এক সপ্তাহেই তার চাইতে অনেক বেশি লোক যুক্ত হইয়া যাবে, মেটাভার্স আসার লগে লগে। তার অর্থনৈতিক মূল্য, নিশ্চিত থাকেন, চাইর আনার চাইতে বেশি।

বিজনেসের দিক থিকা এই কৌশল তাই যারপরনাই কাজে দিছে। এগুলি চাইনিজ ধরনের বুদ্ধি।

জাকারবার্গরে কে দিছে এই বুদ্ধি—তার চাইনিজ স্ত্রী, নাকি চাইনিজ কোনো বিজ্ঞাপনী সংস্থা?

২৯/১০/২০২১

Leave a Reply