৩০ ডিসেম্বর রাতে ঢাকার আর্মি স্টেডিয়ামে বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের উচ্চাঙ্গসংগীতের অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি কাইয়ুম চৌধুরী মারা গেলেন।
কিছু দরদী লোকের হাহাকার শুনতেছি: কাইয়ুম চৌধুরী মারা গেছেন অনুষ্ঠানে সুতরাং অনুষ্ঠান বন্ধ কইরা দেওয়া উচিত ছিল। অনুষ্ঠান বন্ধ না করা খুব খারাপ হইছে!
২.
এখন একটা কুতর্কের পয়েন্ট দেই: ধরেন অনুষ্ঠান বন্ধ করল বেঙ্গল কিন্তু পরদিন, আল্লাহ না করুক, আরেক সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মারা গেলেন অনুষ্ঠানে। ওই অনুষ্ঠানও কি রদ করা হবে? ঠিক কতবার হবে? এইটারে আপনারা কুতর্ক বলবেন। আলোচনার বিষয় না এই ধরনের সমস্যা, মানি। কিন্তু উত্তর নিশ্চয়ই আছে একটা। সেইটা কী?
৩.
কবিতা পরিষদের অনুষ্ঠানে কামরুল হাসান মারা যাওয়ায় কি অনুষ্ঠান বন্ধ করা হইছিল। মনে তো হয়, না।
আমার মতে অনুষ্ঠান বন্ধ না করা ঠিক হইছে।
৪.
এখন জিজ্ঞাসা, এই যে বন্ধ করতে চাওয়া এই সংস্কৃতির উদ্ভব হইল কেমনে কেমনে? এই যে মহীরূহদের অনটনে তৃনমূলদের সব ইচ্ছা অনিচ্ছা ভাল লাগার ধর্মঘট ঘটাইয়া দেওয়া এই কালচার কই থিকা আসল?
এইটা আমার ধারণা শহীদ মিনার থিকা আসছে। নিরবতা পালন থিকা আসছে। শ্রদ্ধা জ্ঞাপন থিকা আসছে।
শ্রদ্ধার অতিরেক এখানকার মাষ্টার, লিডার, কালচারাল পাণ্ডাদের বৈশিষ্ট্য। জিয়াউর রহমান মারা যাওয়ায় একটা জাতিরে কতদিন শোক পালন করতে হইছিল মনে আছে?
জাতির সদস্যরা প্রতিদিন হাজারে হাজারে মারা যায়। তাই জাতির শোক অত ভয়াবহ না যতটা পলিটিক্যাল লিডাররা, বুদ্ধিজীবী দালালরা আর মিডিয়ার মাস্তানরা দেখাইতে চান।
শোককে সংক্ষিপ্ত রাখেন। জীবনে শোক দুঃখ বেদনারে ব্যক্তিগত রাখার চেষ্টা করেন। আজান দিয়া শোক করার উৎসবে একটু রাশ টানেন। আনন্দের অনেক কিছু আছে তো।
১/১২/২০১৪