আত্মহত্যার প্ররোচনা বলতে কী বোঝায়?

আইনত “প্ররোচনায় আত্মহত্যা”রে সিদ্ধ জ্ঞান করলে আত্মহত্যারে বৈধ গণ্য করতে হয়। তেমন প্ররোচনায় অন্যদেরও আত্মহত্যা করা কর্তব্য গণ্য করতে হয়।

তেমন তেমন ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট ভাবে আত্মহত্যা করতে না বললে (যেমন কেউ আইসা কাউরে বললো, তুমি আত্মহত্যা করো…!), আত্মহত্যায় স্পষ্টভাবে উদ্বুদ্ধ না করলে তারে আত্মহত্যার প্ররোচনা বলা যায় কি?

প্রেম আর করতে না চাওয়া, সংসার আর না চালাইতে চাওয়া, ভরণপোষণের দায়িত্ব না নেওয়া, পাবলিকলি অপমান করা এগুলারে আত্মহত্যার প্ররোচনা মাইনা নিলে কেউ যখন এইসবের কারণে আত্মহত্যা করে-না তখনও এগুলারে “আত্মহত্যার প্ররোচনা” হিসাবে অপরাধ গণ্য করতে হয়।

কিন্তু এই ক্ষেত্রে আইন বড় স্যুররিয়াল, আইন আত্মহত্যার চেষ্টারে দণ্ডনীয় অপরাধ জ্ঞান করে, আবার “প্ররোচনায় আত্মহত্যা” কনসেপ্টের মাধ্যমে কী কী কারণে (অর প্ররোচনায়) আত্মহত্যা করা যায় তার তার ইঙ্গিত প্রতিষ্ঠা করে।

২.
আত্মহত্যাকারীদের আবেদন বা নোটের বক্তব্য যতদিন আইনি প্রতিষ্ঠানগুলি জীবিত অপরাধীদের বক্তব্যের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়া শুনবে ততই আত্মহত্যার হার বাড়তে থাকবে।

আত্মহত্যাকারীর চরমপত্র বা নোটের মূল্য আদালতে শূন্য করা যায় কিনা বা কমাইয়া আনা যায় কিনা বিচার বিভাগীয় সংস্থাগুলি সে নিয়া ভাবনা-চিন্তা করবেন আশা রাখি। নইলে দেশে আত্মহত্যা বাড়তেই থাকবে।

আত্মহত্যাকারীদের কারণে বাঁইচা থাকা ও বাঁইচা থাকতে চাওয়া মানুষের জীবনে গজব নাইমা আসবে। পরিবারসুদ্ধা লোকরে গ্রেফতার কইরা সামাজিকভাবে অসম্মান করা হবে।

মানুষ যখন জানবে নিজে মরলে অন্যরে শাস্তি দেয়া সম্ভব তখন এই পথ অনেকেরই কাছেই লোভনীয় হইয়া উঠবে।

আত্মহত্যাকারীদের প্রতি কোনো সহানুভূতি নয়। যদি ধইরা নেই আত্মহত্যা অপরাধ, তাইলে ধইরা নিতে হয় কখনোই আত্মহত্যা করার মত অবস্থা আইনত তৈরি হয় না।

ফলে কারো আত্মহত্যার জন্য অন্যদের না ঘাটানো ভালো। নৈতিক ভাবে ঘাটান সেইটা যার যার নিজের দৌড়, কিন্তু আইনগতভাবে তা অকর্তব্য হয়।

৭/৭/২০১০

Leave a Reply