“আশির দশকে তরুণদের রাজনৈতিক চিন্তাভাবনায় যে পরিবর্তন ঘটতে শুরু করেছে তার লক্ষণগুলো এই ধরণের লেখালিখির মধ্য দিয়ে হাজির হতে শুরু করেছে। এই ক্ষেত্রে আমার আপত্তি যদি কিছু থেকে থাকে সেটা হচ্ছে তরুণদের বড় একটি অংশ যারা প্রমিত ভাষার বিপরীতে লেখালিখি করেন তারা এই ভাষায় বিশ্বাস করেন না, যে কারনে ভাষাটির সম্ভাবনা এতে উদাম না হয়ে একটা ফাজিল বা ফাজলামির ব্যাপারে পর্যবসিত হয়।”
-ফরহাদ মজহার
(কোথা থেকে কোথায় এসে পড়েছি!, চিন্তা, ২৪ মার্চ ২০১৪)
এই ভাষায় অনেক কম লোক লেখতেছে সেইটাই এইটার সম্ভাবনা উদাম না হওয়ার কারণ, ফাইজলামি না।
ফাইজলামি যে কোনো ভাষায় সাধিত হইতে পারে, এইটা অপ্রমিত ভাষার সাধারণ গুণ না। চর্চার ক্ষেত্রে কে কোন জিনিস নিয়া আগাবে তা তার তার ব্যাপার।
কেউ অপ্রমিত ভাষায় লেখে তাই তার মধ্যে ফাইজলামি আছে এমন দেখতে পাওয়াটা পুলিশি দৃষ্টিপাত।
ফরহাদ ভাইরে অনুরোধ করব অপ্রমিত ভাষারে প্রমিতের যে অর্জন তার দিকে ঠেইলা দিবেন না। এই ভাষা যেহেতু নতুন দর্শন দেয় তা পুরাতন ভাবগাম্ভীর্যের কচকচিতে যাবে না।
এইটা কেবল নতুন ভাষা না নতুন দৃষ্টিভঙ্গিও। তাতে ফাইজলামির মধ্য দিয়া গুরুতর কিছু পাইতে বা দিতে সমস্যা হওয়ার কথা না। বরং ফাইজলামি বা ভাষাটার স্বাভাবিক প্রকাশরে ব্যাহত করলে এই ভাষা প্রমিতের অনুবাদে পরিণত হবে।
ফাইজলামি প্রতিবন্ধক না। বরং এও এক সম্ভাবনা। প্রমিত-অপ্রমিত সব ভাষায় আরো আরো ফাইজলামি করতেই বরং আমি আহ্বান করব সবাইরে।
গম্ভীর বা সিরিয়াস ভঙ্গিই বরং ভাষার সম্ভাবনারে অভিনয়ের কারণে তথা দুর্বল প্রকাশভঙ্গির কারণে সীমিত করে।
বৈচিত্র সব ভাষায়ই আছে বা থাকে। ভাষা এই জন্যেই ভাষা যে তার ভাব বা ভঙ্গি একটি মাত্র নয়।
তা যেমন ফাইজলামি দিয়া প্রকাশিত হয়, ভাবগাম্ভীর্য দিয়াও হয়।
যেইখানে ফাইজলামির দরকার সেখানে ভাবগাম্ভীর্য হয়তো অধিকতর ফাইজলামিরই ব্যাপার।
৩১/৩/২০১৪