শিল্পের জন্যে স্বাধীনতা লাগে না। পরাধীনতাও না।
শিল্প সাব্যস্ত করার বিষয়। কারা শিল্প ঘোষণা করবে তা কালে কালে নির্ধারিত থাকে। তাদের দ্বারাই সে সে কালের তেমন তেমন শিল্প সাব্যস্ত হয়।
সে অর্থে শিল্প অবশ্যই রাজনৈতিক বিষয়। সে রাজনীতি রাজনীতিক নেতারা নিয়ন্ত্রণ করেন না বরং সেই সেই আমলের তোষণকারী ও বিরোধী শিল্পবোদ্ধারা নিয়ন্ত্রণ করেন।
সুতরাং প্রথম কাজ শিল্পকে অতিক্রম করা। কীভাবে সম্ভব—সম্ভব এইভাবে যে আপনি শিল্প করলেন না!
আপনি গাইলেন—তা গানই গাইলেন; শিল্প হওয়ার অপেক্ষা করলেন না। আপনি লিখলেন—তা লেখাই হইল; শিল্প হওয়ার অপেক্ষা করল না। আপনি শিল্প না করে, সুন্দর না ভেবে, কর্ম করলেন—গীতা অনুসার। অর্থাৎ ফলের আশায় কিছু করবেন না।
যদি ছবি তো ছবি—শিল্প চুদি না।
১৬/১১/২০১৩