অ্যাটেনশন সিকিং হইল আপনি এমন কিছু করবেন যাতে প্রকাশ্য কোনো ঘোষণা থাকবে না, জোর থাকবে না তথাপি আপনার কথার সাবজেক্ট, তর্ক বা আপত্তির পয়েন্ট এবং বলার ভঙ্গির কারণে লোকজন আপনার কথা শুনতে বাধ্য হবে।
লোকজনের পছন্দ-অপছন্দকে কাজে লাগাইয়া তাদেরকে কথা শোনানো, এইটা খারাপ কেন?
যেইসব লোকেরা রাজনীতিবিদ, টকশোবিদ, মাষ্টার, হুজুর আর পিতামাতার জবরদস্তি কইরা শোনানো কথা আর উপদেশের বস্তা শুইনা অভ্যস্ত, তাদেরকে আপনি অ্যাটেনশন সিকিং ছাড়া কেমনে নিজের কথা শোনাইবেন?
আপনি কি ফেসবুকের মতো পাবলিক জায়গাতে আইসা ডায়েরি লিখতে বসবেন? কিন্তু দেখেন, যখন জাস্ট ডায়েরিও লিখবেন বা বলবেন আমার মন ভালো নেই তখনও লোকজন আপনারে অ্যাটেনশন দিবে। কারণ ফেসবুক জিনিসটা অ্যাটেনশন দেওয়া-নেওয়ারই প্ল্যাটফর্ম। এইখানে যখন আপনি স্ক্রল করতে গিয়া একটু থামতেছেন কারো লেখা পড়তে বা ছবি বা ভিডিও বা কমেন্ট পড়তে তখনই আপনি সেই লোকরে অ্যাটেনশন দিতেছেন।
তাইলে আমার ব্যাপারে আপনাদের আপত্তি কোথায়?
২.
আপনাদের কমন আপত্তি এই যে, ফেসবুকে আপনারা কেউ অ্যাটেনশন চান না, খালি আমি ব্রাত্য রাইসু অ্যাটেনশন পাওয়ার জন্য সব লিখি। নাইলে আমার লেখালেখি করার কথা না; বা যা আমি লিখি তা না লেইকখা আপনাদের মতো ম্যান্দামারা হাতির গু ইত্যাদি কলাগাছের ফলাফল মূলক লেখা লিখতাম।
৩.
বস্তুত লোকজনের আমি অ্যাটেনশন চাই ততটুকুই যতটুকু আপনি নিজেও চান। আপনি নিজেও জানেন আমি অ্যাটেনশন চাইলে তাতে কোনো আলাদা ব্যাপার ঘটে না। বরং আপনাদের আপত্তি হইল, কেন লোকজন আমারে অ্যাটেনশন দিতেছে, আপনাদের কেন দিতেছে না!
লোকজন অ্যাটেনশন দিবে বইলা কি আমি আপনাদের মতো রদ্দি কোনো ফরম্যাট মাইনা কথা বলি? দেখছেন?
আমি তা বলি না। আমি হইলাম ফেসবুকের কথা যদি ধরেন, একান্তই নিজের মতো বলা ও চলা একজন সাধারণ মানুষ। যার জিহ্বা আপনি শাসন করতে পারেন না। না রুচিগত ভাবে, না কম্যুনিটি ওয়াইজ।
আমার কথার ধরন, ভঙ্গি ও বক্তব্য যদি মানুষের ভালো লাগে তারা আমার কথায় অ্যাটেনশন দিবে। তাতে আপনাদের গো য়া জ্বলে কেন?
আপনি কি যথেষ্ট অ্যাটেনশন পাইতেছেন না? বিশ্বাস করেন, সেইটা আমার দোষ না, আপনারও অ্যাটেনশন সিকিং-এর ঘাটতি তাতে ঘটতেছে না। জাস্ট লোকে আপনারে অ্যাটেনশন দিতেছে না!
আমি জিজ্ঞেস করবো, এই অ্যাটেনশন না পাওয়ার কারণে আপনি নিজেরে বদলাইবেন কিনা?
আপনি অ্যাটেনশন না পাওয়ার কারণে নিজেরে বদলাইতেও পারেন নাও পারেন, কিন্তু আমি অ্যাটেনশন পাওয়ার কারণে নিজেরে বদলাইতে যাই না।
আমি যে আমার মতো, এইটাই এমনকি আপনি যে আমারে অ্যাটেনশন দেন তার কারণ।
আপনি যে আমারে অ্যাটেনশন না দিয়া পারতেছেন না, বিশ্বাস করেন, এইটা একান্তই আপনার ভালো লাগার প্র্যাকটিস। সে কারণে নিজেরে গালি না দিয়া আমারে কেন ‘অ্যাটেনশন সিকার’ বইলা গালি দেন?
আমার অ্যাটেনশন চান আপনি? দিবো নে!
২৪/৭/২০২২