সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর হইলে english নইলে বাংলা!

ভাষামিশ্রণজনিত শুদ্ধতার এই বাই
মূলত ইংরেজি বাংলার দোহাই

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী নাকি হইলে english আর নইলে বাংলা লেখেন।

খালি লেখা না, বলার সময়ও এই শুদ্ধতা বজায় রাখেন।

উনি banglay ইংরাজির মিশ্রণ ঘটান না। ইংরাজিতে অবশ্য উনি কেন, কেউই বাংলার misron ঘটায় না।

তাঁর ছাত্রছাত্রীদের দেখছি এই বিষয়ে মুগ্ধতা আছে। যেইখানে ভাষা, অন্তত বাংলা ভাষা গইড়াই উঠছে হইল ভাষামিশ্রণ দিয়া, সেইখানে ওনার এই রকম অবিমিশ্রতার তপস্যা কেন? উপনিবেশরে রুধিছেন উনি? তা নহে তা নহে।

তা উনি কেমন বাংলা লেখেন দেখা যাউক:

“ইংরেজ যে এসেছিল সে তো কেবল বন্দুক ও আইনকানুন নিয়ে নয়, সঙ্গে পুরো একটা ব্যবস্থাকেও নিয়ে এসেছিল বৈকি। ওই ব্যবস্থাটাকে বলা যায় পুঁজিবাদী। পুঁজিবাদ একটি অর্থনৈতিক ব্যবস্থা, সেই সঙ্গে সে একটি আদর্শও বটে। এদেশের শিক্ষিত মানুষেরা ওই ব্যবস্থা ও আদর্শের কাছেও বিলক্ষণ নতি স্বীকার করেছে। এই নতি স্বীকারটিই বরঞ্চ স্থায়ী হয়েছে, এবং তা মেরুদণ্ডকে শক্ত হতে দেয়নি। শাসক বদল হয়েছে, কিন্তু ব্যবস্থা ও আদর্শের কোনো হেরফের ঘটেনি। এখন আর বিদেশিরা নেই, এখন আমরা নিজেরাই নিজেদের শাসন করছি।”—শিরদাঁড়াটা কোথায় থাকে

এবং সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর এই বাংলা শেষ পর্যন্ত ইংরেজি-বাংলা—বাক্য গঠনে ইংরেজি স্ট্রাকচার খলবলাইতেছে। যিনি বাংলায় ইংরেজি ওয়ার্ডের টিকিটিও দেখিতে নাহি চান তার বাংলায় ইংরেজী বাক্যগঠনের এমন নকলদারি কেন? বোধহয় উনি ইংরেজের তরেই বাংলাটি লেইখা থাকেন। তা আমাদের সব শুদ্ধ ভাষাঅলারাই লেখেন।

এই সিইচৌবাংলা উপনিবেশের ভাষিক কাঠামোর উপস্থিতি। আলালী বাংলারে খেদাইতে গিয়া রবীন্দ্রনাথ এই কর্ম শুরু করছিলেন কি? তবে জমিদারি ছিল বইলা কিছু উপনিবেশের অভাব তার বাংলায় আছিল। পরের আর্দালিদের যা আছিল তার পুরাটাই উপনিবেশ। এবং এখনো ভাষার ইংরাজি রূপের এই বিভা বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ইংরেজিসহ সকল বিভাগে সহিসালামতে প্রভাইছে। কাজেই কাজেই গবেষক, ছাত্র, অধ্যাপক, লেখক সকলের কলমের ডগায় এই বাংলা ঘন ঘন ইংরেজিছে।

ব্রাহ্ম সমাজের নামে খ্রিষ্ট ধর্মের ছুৎমার্গরে জনমণ্ডলীর ভাষায় পরিব্যপ্ত কইরা দিছিলেন রবীন্দ্রনাথ। তা আমরা এখনো সকল প্রাতিষ্ঠানিকতায়, আনুষ্ঠানিকতায় বহাল রাখতেছি। ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ ভাইগা যাওয়ার পরেও আমরা জবানবৃটিশের জবানবন্দি হইয়া আছি। অনূদিত ব্রিটিশ এই স্যর সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীকে ভাষামিশ্রণ করিতে সবিশেষ আমন্ত্রণ জানাই। স্যার, একবার দেখবেন নি কোশেশ কইরা?

৩১.৩.২০১০

 

1 Comment

Add Yours →

Leave a Reply