রবীন্দ্রনাথের ক্ষমতা তার লেখায় না, বরং এই যে তারে মাঝারি সাহিত্যিক বলতে গিয়া বিচার-বিবেচনার ধার ধারতে হয়, আপনার হাঁটু ও জিহ্বা কাপতে থাকে, এইটাই তার পরাক্রম।
এই পরাক্রম সাহিত্যিক পরাক্রম না, রাজনীতিক পরাক্রম।
সাহিত্যে পরাক্রম চলে না। হয় না। তবু আপনি দেখবেন সাহিত্যে পরাক্রম হইতেছে।
পত্রিকা, বিদ্যালয় ও সরকার অর্থাৎ সৈন্য-সামন্তের সহায়তায় সাহিত্যের যে পরাক্রম তৈরি হয় তা রবীন্দ্রনাথ বা আনিসুজ্জামান বা হুমায়ূন সকলের ক্ষেত্রেই লাঠিয়ালগিরি মাত্র।
এই রকম পরাক্রম কোনো মিডিওকার লেখকরে মহীরূহ হিসাবে চাঙ্গে ওঠায়া রাখে।
এই ধরনের মহীরূহদের আপনি ওভারকাম করবেন কোনো তথ্য প্রমাণ হাজির না কইরাই ওনাদেরে স্রেফ ‘মাঝারি সাহিত্যিক’ বইলা বইলা।
তাইলে ঠিক আছে, আমরা ঠিক করলাম: রবীন্দ্রনাথ ইজ আ মিডিওকার।
এখন খারাপ দার্শনিক আর মাঝারি সাহিত্যিক ভদ্রলোকরে যারা টাইনা খানিক উপরে তুলতে চান তো তোলেন।
আমরা গুমাইতে গেলাম। গুড নাইট।
ও আরেকটা কথা: আমি ওনার অপারগতা আর মাঝারিরে বেশ ভালোই বাসি।
৬/৪/২০১৪