ফেসবুকে আমি একটা লেখা পোস্ট করলাম, অন্য কাউরে দিয়া লেখাইয়া। বা কেউ একটা লেখা লেইকখা দিয়া আমার নামে তা ছাপাইতে কইল। আমি ছাপাইলাম।
এই ধরনগুলাতে লেখার নন্দনতাত্ত্বিক অবস্থা বিচারের চাইতে বক্তব্য বিচারই গুরুত্বের জায়গায় থাকে। বক্তব্যগুলি পোস্টকারীর নিজের লিখিত হইতে পারে, অন্যরে দিয়াও লেখানো যাইতে পারে। পোস্ট করাটাই মূল।
যারা লিখতে জানে না তাদের বক্তব্য যখন অন্যে লেইকখা দেয় তা তাদেরই বক্তব্য। যারা জানে লিখতে তারাও এই রকম আন্যরে দিয়া লেখাইতে পারে।
নানা কারণেই তা পারে। তাতে তাদের বক্তব্যের আইনগত দায়িত্ব উধাও হইয়া যায় না।
মনে রাখতে হবে, আমি বক্তব্য প্রধান পোস্ট বা ভাষ্য বা ভাষণ নিয়া বলতেছি। ক্রিয়েটিভ রচনা লইয়া কইতেছি না।
লগের ছবিতে নিবেদিত লেখাটা ফুটবলার সানজিদা আখতার নিজেই লেখছেন না অন্য কাউরে দিয়া লেখাইছেন না অন্য কেউ লেইকখা তারে দিয়া পোস্ট করাইছে এই রকম একটা গরম আলোচনা দেখলাম ফেসবুকে ঘুরতেছে।
এইটা লঘু আলোচনা।
বেসিক্যালি লেখকদের ‘যোগ্য’ আলোচনা এইটা। লেখকরা লেখা জিনিসটার পবিত্রকরণ করতে করতে এই অবস্থা করছে! কাগজে কলম দিয়া বা আঙুল দিয়া কি বোর্ড গুতাইয়া কে লেখতেছে তা তাদের জানা দরকার।
সানজিদা যদি দেশের শুদ্ধ ভাষাভাষী নাগরিকদের উদ্দেশে তাদের ভাষায় তার ভাষ্য বা বক্তব্য অন্য কাউরে দিয়া লেখাইয়া ফেসবুকে পোস্ট করে তাতে কেন আপনারা সমস্যা দেখেন!
আপনি যখন চাকরির দরখাস্ত করেন তার ভাষা আর ফেসবুকের ক্রিয়েটিভিটি করার কি আলাপ বা কমেন্ট করার ভাষা তো এক নয়। সে কারণে আপনি ভিন্ন ভিন্ন সানজিদা আখতার হইয়া যান না। এই বর্ণনাভঙ্গির বহু রকমতা হইল মানবীয় গুণ।
২.
সমাজে নিষিদ্ধ বা নিষিদ্ধ করার ঘোরতর চাহিদা আছে এমন জিনিসের পার্শ্ব সমস্যা আবিষ্কার রাজনৈতিক ভাবে সেই জিনিসরে নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে জনমতামত তৈরি কইরা থাকে।
২০/৯/২০২২