কেন আমি সরকার বিষয়ক আলাপে থাকি না

বলেন তো, দেশ ও সমাজ জিনিসটা বুদ্ধিজীবীর শত্রু না মিত্র?

আমি বলব, শত্রুও না, মিত্রও না।

তবে বুদ্ধিজীবী নিজে দেশ ও সমাজের দিক থিকা আবার অভিভাবক তথা মিত্র।

কীভাবে?

সেই ভাবটি বলার আগে বলতে হয়, দেশ ও সমাজ বুদ্ধিজীবীর “শত্রু” না হইলেও “বিরোধী পক্ষ” অবশ্যই।

এই দুই জিনিস, দেশ ও সমাজ, যে দশায় আছে তা টিকাইয়া রাখার চাইতে বদলাইয়া দেওয়াই যেহেতু বুদ্ধিজীবীর কাজ।

২.
বিপরীতে অ্যাকটিভিস্টের মূল কাজ সরকার টিকানোর স্বার্থে দেশ ও সমাজের আনাচে কানাচে চলতে থাকা অবিচার বা দুর্বলতাগুলিকে ক্ষমতাসীনদের নজরে আনা। এবং আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে সঠিক ভূমিকা নিতে বাধ্য করা।

বুদ্ধিজীবীর এইটা লাইন না। যদিও আমাদের দেশে অ্যাকটিভিস্টরাই মূলত বুদ্ধিজীবী। এখানে রাজনৈতিক ভাষ্যকার এবং টকশো কথাশিল্পীরা বুদ্ধিজীবী হিসাবে অধিক গুরুত্ব পান ও নেন।

৩.
আমার অভিজ্ঞতা বলে, বুদ্ধিজীবীর দেশ ও সমাজ বদল যজ্ঞে সরকার বদলের বিষয়টা ভূমিকা রাখে না। সরকার বদলাইলেই দেশ বা সমাজ আগাইয়া যাবে এমন নিশ্চয়তা নাই।

দৃষ্টান্ত হিসাবে বলা যায়, নতুন নতুন সরকারগুলির মাধ্যমে দেশ আগাইলেও সমাজ পিছাইছে। নাকি আপনাদের ভিন্নমত আছে?

এই পিছানোর কারণ কাছাকাছি অতীতগুলিতে বুদ্ধিজীবীরা রাজনৈতিক দলের ভূমিকা নিছিলেন, তারা দেশ ও সমাজ বদলের চাইতে সরকার বদলে নজর দিছিলেন বেশি।

সরকার বদলের দায়িত্বটি মূলত বিরোধী রাজনৈতিক দলের। বুদ্ধিজীবীরা এই দায়িত্ব গ্রহণ করলে তাদের নিরপেক্ষ দৃষ্টি লোপ পায়।

তখন দেশ ও সমাজ লইয়া তাদের কর্তব্যকর্মগুলি আর করা হইয়া ওঠে না। সময় কোথায়?

২৩/৮/২০২২

Leave a Reply