পশু হত্যার দৃশ্য আর পশুর মাংস ভক্ষণ এ দুইয়ের ভায়োলেন্স সমান না।
পশুহত্যা বন্ধ করার কিছু একটিভিস্ট আছেন তারা পশুর মৃত্যুদৃশ্য দেখতে রাজি না, কিন্তু পশুমাংস খাইতে তাদের অসুবিধা নাই।
আমি তাদের এই হালকা কমপ্লেক্স অবস্থানরে নিন্দা করবো না। বরং এইটারে যারা হিপোক্রিসি বলেন তাদের বিরোধী অবস্থানে থাকতে চাই।
কোরবানির দৃশ্যে যে ভায়োলেন্স আছে তা স্বীকার করতে অসুবিধা কোথায়?
থাকুক ভায়োলেন্স। ধর্মকর্ম বা রিচ্যুয়ালকে কেন আধুনিক মনস্তত্ত্ব দিয়া বিচার করতে হবে।
তসলিমা প্রমুখদের সমস্যা হচ্ছে তারা ধর্মকে যুগপোযোগী দেখতে চান। কিন্তু ধর্মের বিশালত্ব এইটাই যে তা কাল বা যুগকে ধর্মপোযোগী কইরা নেয়।
পড়তে পারেন: বিরোধিতা কীসের ও কেন কোরবানি ভালো
আপনি যদি ধর্মে থাকেন তবে পশুহত্যায় ভায়োলেন্স হয় বইলা তা রদ করতে পারেন না। বরং ধর্মের ভায়োলেন্সটুকুও আপনাকে পালন করতে হবে।
ধর্ম কেন আপনার ধর্মনিরপেক্ষতার দায় বহন করবে।
কিন্তু যে রাষ্ট্র ধর্মনিরপেক্ষ তার দায় আছে নাগরিকদের সাধারণ অধিকার প্রতিষ্ঠা করার। সেইটা ধর্মানুসারী হইলে হবে না। ইহুদি বা ইসলামি বা হিন্দু রাষ্ট্রের ক্ষেত্রে ব্যাপার ভিন্ন।
৬/১০/২০১৪