সামান্তা রুথ প্রভুর খারাপ উদাহরণ

২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে তেলুগু ও তামিল অভিনেত্রী ও মডেল সামান্তা রুথ প্রভু বিয়া করছিলেন তেলুগু অভিনেতা নাগা চৈতন্য আক্কিনেনি’রে। এর আগে দুই বছর তারা প্রেম করছেন।

এখন বিবাহ বিচ্ছেদ হইছে ওনাদের। বিচ্ছেদের নিয়ম অনুসারে নাগা চৈতন্যের কাছ থিকা ২০০ কোটি রুপি তার পাওয়ার কথা।

কিন্তু এই টাকা তিনি নিবেন না বলছেন।

চারিদিকে এতে বাহবা ধ্বনি পইড়া গেছে। টাকা না নিয়া সামান্তা নাকি নারীদের উপযুক্ত কাজ করছেন! মেয়েদের নাকি তারে অনুসরণ করা দরকার!

আশ্চর্য।

আসলে সামান্তা কী করলেন?

তিনি মেয়েদের ন্যায্য খরপোষরে অবৈধ দাবি আকারে তুইলা ধরলেন আধুনিক সমাজের কাছে।

যে অর্থে বিবাহ বৈধ সে অর্থেই খরপোষের অর্থ বৈধ। তা না নেওয়াটা গৌরবের বিষয় হইতে পারে না।

কেননা খরপোষ না নেওয়ার স্বাধীনতা নারীর বিবাহ করার না-স্বাধীনতারে মুইছা দেয় না।

তো আপনি বিবাহের বেলায় সামাজিক-অর্থনৈতিক নিয়ম মানবেন বিবাহ বিচ্ছেদের বেলায় স্বাধীনতা অর্জন করবেন—এর কী অর্থ আসলে? সামান্তা যে খরপোষের মূল্য বাবদ ২০০ কোটি রুপি পাওয়ার যোগ্য সেইটা তো সামান্তার নিজের বিয়েরই চুক্তিপত্রের ঘোষণা। নাকি?

আরো পড়ুন: যৌতুক কেন খারাপ?

এর অর্থ, যেইসব মেয়েরা বিবাহ বিচ্ছেদের পরে খরপোষ গ্রহণ করেন তাদেরকে ডাউন করা। তাদেরকে পরাধীন নারী হিসাবে ঘোষণা করা। যা আসলে তারা নন। বরং খরপোষ গ্রহণ করার মাধ্যমেই তারা নারী হওয়ার স্বাধীনতা অর্জন করেন। স্বাধীনতার প্রশ্নে তারা সামান্তার চাইতে আগাইয়া থাকেন।

খারাপ উদাহরণ তৈরি করলেন সামান্তা।

৪/১০/২০২১

Leave a Reply